ফেনী শহরের রামপুরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদানে জড়িত থাকা ও দায়িত্বে অবহেলা করায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ফেনী অফিসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করেছে কর্তৃপক্ষ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলার সুপারিশে তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি: এর কুমিল্লায় অবস্থিত প্রধান অফিস হতে এ ব্যাপারে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাসের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তারা হচ্ছেন আবুল বশর ভূঞা (রাজস্ব), সহকারি ব্যবস্থাপক আমানুল ইসলাম, প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, সহকারি প্রকৌশলী নুর করিম, টেকনিশিয়ান নুরুল আমিন, বিক্রয় সহকারি জামাল উদ্দিন, রেকর্ড কিপার কামরুল হাসেম মজুমদার ও সুইপার গগন লাল।
বাখরাবাদ ফেনী অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসেমের বিরুদ্ধে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ও রামপুরে অবৈধ গ্যাস প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই ওই ৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষণিক তাদের সবাইকে কুমিল্লায় প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজন দুর্নীতির কারণে তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়নি বলে দাবি করেন। দৈনিক ফেনীকে তারা জানান, তাদের অফিসের স্বার্থে বদলি করা হয়েছে। তবে আমরা বেশ কয়েকটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের সময় অংশ নিয়েছিলাম। এ কারণে আমাদের উপর একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত থাকতে পারে।
একই দিন অবসরে চলে যান ফেনী অফিসের ব্যবস্থাপক সাহাবুদ্দিন। এর পরপরই এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার এনএম আবদুল্লাহ আল মামুনের ও সহকারি কমিশানার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযানে চালিয়ে রামপুরে প্রায় ৭ হাজার মিটার অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করেন। এতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তাদের তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাখরাবাদের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে দৈনিক ফেনীর পক্ষ থেকে বাখরাবাদের নোয়াখালী অঞ্চলের ডিজিএম সগির আহম্মদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করে নি। একইভাবে ডিজিএম (সেলস) মো: সোলায়মানকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেন নি।