বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। রবিবার (১৭ মে) রাত নটায় একথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা অ্যাকুওয়েদার বলছে, এটি হ্যারিকেন ৪ এর সমতুল্য চরম তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের চোখ চট্টগ্রামের দিকে।
রাতে আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়ার আকারে ১৩০কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযান ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যেন স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে এসব নৌযানকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা অ্যাকুওয়েদার জানাচ্ছে, 'আম্ফান' রবিবার সিবিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম হিসাবে রূপ ধারণ করেছে।
অ্যাকুওয়েদার আবহাওয়াবিদ ড্যাভ হুক মনে করেন যে ঝড়টি খুব মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় পৌঁছতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, "এটি এমনকি চরম তীব্রতর ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের তীব্রতায় পৌঁছতে পারে, যা হ্যারিকেন ৪ এর সমতুল্য।"
অ্যাকুওয়েদার বলছে, ঘূর্নিঝড়টি বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জীবনহানিসহ বড় ঝুঁকিতে ফেলবে। ঘুর্ণিঝড়ের চোখ চট্টগ্রাম ও দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও কলকাতার দিকে বিস্তৃত।
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের এখনই ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে ওই মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর।
ঝড়ে বাতাসের ঝাপটায় ক্ষতি এবং বন্যার মতো বৃষ্টিরও আশংকা করা হচ্ছে।