রোগ নির্ণয়ে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সাথে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ফেনীবাসীর চিকিৎসায় নতুন দ্বার উম্মোচন করেছে বলে জানিয়েছেন ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। যেসব পরীক্ষা-নীরিক্ষা আমাদের হাসপাতালে করার সুযোগ নেই, এ চুক্তির মাধ্যমে সেসব সুবিধা পাওয়া যাবে।


আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সায়েফ উদ্দিন।


শুসেন চন্দ্র শীল জানান, রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার জন্য রোগীদের ঢাকা যেতে হবেনা। হাসপাতাল থেকেই তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে উন্নত পরীক্ষার জন্য ঢাকা বারডেম হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠাবে কর্র্তৃপক্ষ। পাঠানোর একদিনের মধ্যে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ফেনী বসেই।


তিনি জানান, ফেনীসহ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অধিভুক্ত ও সাব-অধিভুক্ত নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর এবং চৌদ্দগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতিও চুক্তিতে সম্পৃক্ত হয়েছে।


অনুষ্ঠানে ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল সবুজের পরিচালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারডেম ইমিউনলজি ল্যাবরেটরীর প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার ড. মোহাম্মদ সোহরাব আলম।


এসময় অন্যান্যের মাঝে ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জহির উদ্দিন আকবর শিপন, পরিচালক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ফেনী ছাড়াও নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর এবং চৌদ্দগ্রাম ডায়াবেটিক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এরপর ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও ল্যাব টেকনিশিয়ানদের পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।