৭ জানুয়ারী, ২০২০ ।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আগামী ১১ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ফেনীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ৫শ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। এদিন জেলাব্যাপী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫টি অস্থায়ী ও ৩০টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি লাল রঙের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস কক্ষে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজজামানের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরফুদ্দিন।


ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১১ জানুয়ারী ফেনী জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ২৮ হাজার ৫শ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ১২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলাব্যাপী ১ হাজার ১শ ৫টি অস্থায়ী ও ৩০টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ৫ শ শিশুকে খাওয়ানো হবে।


কর্মশালায় আরও জানানো হয়, ক্যাম্পেইন সফল করতে জেলার ছয়টি উপজেলায় ও পৌরসভায় ২হাজার ২শ ৭০ জন টিকাদান কর্মী, ১শ ৯৪ জন এফডব্লিও কর্মী, ৭ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১শ ২৫জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৪০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং দুই হাজার ২শ ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানোর বিষয়েও প্রচারণা চালানো হবে।


জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াতুজ্জামান জানান, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্বের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অন্যতম লক্ষ্য। এদিন নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসতে সকলকে অনুরোধ করেন তিনি।


আয়োজিত সভায় সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।