১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। ফেনী ডেস্ক।।


স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা ঘোষণা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রকাশিত তালিকায় ফেনীর ২৩ জন রাজাকারের নাম রয়েছে।


তারা হল, ফেনী সদরের বারাহীপুরের একরামুল হক, আহম্মদপুরের রফিকুল ইসলাম, উত্তর কাশিমপুরের মোঃ মিজানুর রহমান, দুধমুখার সিদ্দিক, এনায়েতপুরের হুমায়ুন কবির সেলিম, শ্রীপুরের আবদুল মালেক, শর্শদীর হাফিজ আহম্মদ, দেবীপুরের সিরাজ খান, কালীদহের মোঃ খায়েজ আহম্মদ ভূঞা, মাইজবাড়িয়ার মোঃ নুর ইসলাম, ফাজিলপুরের গোলাম রাব্বানী ভূঞা, বারাহীপুরের মোঃ খায়েজ আহম্মদ, আফতাব বিবির হাটের আবদুল খায়ের, ইয়াকুবপুরের মাওলানা আবদুল হক, রামনগরের হামিদুল হক চৌধুরী, ফেনী শহরের বিরিঞ্চির শামসুদ্দিন আহমেদ, বাঁশপাড়ার মোঃ মকবুল আহমেদ, চাড়ীপুরের মোঃ মোস্তফা, দাগনভূঞার রাজাপুরের ডুমুরিয়ার মোসলেহ উদ্দিন আহম্মেদ, সোনাগাজীর মতিগঞ্জের ভাদাদিয়া গ্রামের এটিএম আবদুল্লাহ চৌধুরী, কুঠিরহাটের মাওলানা আবদুল আজিজ, চরগণেশের এবিএম শামসুদ্দিন ও সাবেক সাব ডিভিশনাল অফিসার বেলাল আহমেদ খান।


মন্ত্রণালয় জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংগ্রহ করে রাজাকারদের তালিকা করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছিল। ওই সময় গ্রামে-গঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বার ছিল, তাদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। গ্রামের এসব মেম্বার এবং বিভিন্ন দল (যেমন জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা, কনভেনশন মুসলিম লীগ) যারা পাকিস্তানের সমর্থক- ওই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।


এসব দলের নেতা রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তবে রাজাকার বাহিনী তৈরির পেছনে ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী এবং তাদের জেনারেলরা।


ওই সব বেতনভুক্ত রাজাকার এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল, তাদের নিয়েই রাজাকারের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার।