সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় বিদায় জানানো হলো ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আবদুল হালিম চৌধুরী। তিনি দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া) নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বাবা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বাদ আছর ছাগলনাইয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযায় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সুধীজনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। জানাযা শেষে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে আব্দুল হালিম চৌধুরীকে চির শয্যায় শায়িত করা হয়েছে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

আজ সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ গৃহে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে দুই ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

জানাযায় ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী বলেন, তিনি আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ। তার জ্ঞান বুদ্ধি ছিল অপরিসীম। তিনি শত শত মানুষকে শিক্ষার আলো দিয়ে গেছেন। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে, ক্রীড়াবিদ হয়ে সবসময় মানুষ এর কল্যাণে কাজ করেছেন।

ছাগলনাইয়া পৌর মেয়র এম মোস্তফা বলেন, স্যার অত্যন্ত গুণী মানুষ ছিলেন। তিনি এ এলাকার স্বনামধন্য পরিবারের মানুষ। ছাগলনাইয়ার একজন কৃতি সন্তান। সবসময় মানুষের সাথে আপনি করে কথা বলতেন।

জানাযায় উপস্থিত থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার, জেলা পরিষদ সদস্য কাজী ফারুক, দৈনিক ফেনী সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুল আমিন রিজভী, ছাগলনাইয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি শেখ কামাল, ছাগলনাইয়ার সাবেক পৌর মেয়র আলমগীর বিএম সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।

জানাযার নামাজ পড়ান মরহুমের ছোট ছেলে নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

উল্লেখ্য, মরহুম আবদুল হালিম চৌধুরী একজন ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেয়া আব্দুল হালিম স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ফেনী জেলা তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রথম ফিফা সনদ প্রাপ্ত রেফারি ছিলেন। এছাড়াও ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ফেনী জেলা রেফারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।

ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি শিক্ষা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক অবদান। তিনি ২০১১ হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছাগলনাইয়া পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ছাগলনাইয়া পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।