ভিক্ষুকমুক্ত, মাদকমুক্ত ইউনিয়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছেন। দুই দফা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের কর্মপরিকল্পনা ও অর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান অঙ্গিকার ছিল মাদক ও বেকারমুক্ত স্বনির্ভর ফাজিলপুর ইউনিয়ন, আমি তা করতে পেরেছি। সম্প্রতি ৪০টি ছোট-বড় সড়কের কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে শহর হতে শহরতলীতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।


ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রিপন বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বে নিজের অর্জিত জ্ঞান ও সক্ষমতা কাজে লাগাতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করবো। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।


একযুগের বেশী নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রিপন। এসময়ে বিএনপি-জামায়াতের রক্তের রাজনীতির স্থলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজনীতি বজায় রাখার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে একধরণের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দলীয় দায়িত্ব পাই এবং ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখি।


স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মজিবুল হক রিপন নিজের সক্রিয় ভূমিকার কথা জানান, তিনি বলেন, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ রাজপথে থেকেছিলেন। ডজন খানেক মামলা আর নির্যাতনের শিকার হয়েও দমে যান নি বলে তিনি দাবি করেন।


কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দিন সভায় উপস্থিত ছিলাম। প্রিয় নেত্রীকে একা রেখে সেদিন ঘরে ফিরে যাইনি।