১৯৯০ সালের শেষ দিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একটি সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন শুসেন চন্দ্র শীল। বর্তমানে ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যদিয়ে ফেনী আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনে পার করেছেন ৩০ বছর।


নিজেকে সময়-দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ কর্মী দাবি করে শুসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এতদুর এসেছি। জনপ্রতিনিধি হতে চাই সরকারের সেবাগুলো মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে। তবে এমপি নিজাম হাজারীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। দল যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেবে, সবাই একযোগে একই লক্ষ্যে কাজ করবো।


রাজনীতিতে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে দীর্ঘ ২৩ দিন অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছি। ৯৬'র ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে বেগম খালেদা জিয়া ফেনী প্রবেশ করে। তখনকার ফেনী জেলা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমরা মহিপালে কালো পতাকা প্রদর্শন করি। সেদিনের সে মিছিলে আমি একজন ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। বিএনপির সন্ত্রাসীদের অমানুষিক নির্যাতনেও আমরা রাজপথ ছেড়ে যাই নি।


শুসেন বলেন, ২০০১ পরবর্তি চরম প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও ফেনী ছেড়ে যাই নি, মামলা-হামলাতেও দূরে থাকি নি। যখন রাজপথে মিটিং মিছিলে হামলা-নির্যাতন নিত্য ছিল, তখনও মুজিব আদর্শ ধারণ করে মাঠে থেকেছি, ছাত্রলীগ সহকর্মিদের নেতৃত্ব দিয়েছি। কখনোই পিছু হটিনি, দমে যাই নি।


রাজনীতিতে পদপদবী প্রসঙ্গে বলেন, ১৯৯৬ সালে ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১২ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০১৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৮ সালে ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করি।