কোভিড-১৯ শনাক্তে চলতি বছরের ৬ জুন ফেনীতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের দুই মাস পার হলেও কবে এর বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কোভিড-১৯ শনাক্তে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জট দূর হবে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীর তাৎক্ষণিক পরীক্ষা সম্ভব হবে বলে জানান ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।

করোনার পরীক্ষার জট প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিদিন পরীক্ষার যে ফলাফল জানানো হচ্ছে তা কমপক্ষে দুই হতে তিনদিন পূর্বে প্রেরিত নমুনার ফল।

ইতোপূর্বে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লিক্যুইড অক্সিজেন ট্যাংকের উদ্বোধনকালে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ফেনী সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সহজ করতে এ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

ল্যাব স্থাপন প্রসঙ্গে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এসএসআর মাসুদ রানা জানান, ফেনীর ৪০ শতাংশ মানুষই জীবিকার জন্য দেশের বাইরে থাকেন। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশে আগমন এবং বহিরাগমনের জন্য করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। এ টেস্টের জন্য ফেনীর প্রবাসীদের পাশর্^বর্তী জেলা নোয়াখালীতে যেতে হয়। আরটিপিসিআর ল্যাবটি স্থাপন করা গেলে ফেনী জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য রোগীদের অপেক্ষা করতে হবে না। চিকিৎসা সেবা দিতে তখন আর চিকিৎসা সেবা দিতে বিলম্ব হবে না।

প্রাথমিকভাবে ল্যাবটি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত হলেও বর্তমানে স্থান পরিবর্তন হয়ে মহিপালে ট্রমা হাসপাতালে হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কবে স্থাপিত হবে এমন প্রশ্নে সূত্রটি জানায়, আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনে কাঠামোগত দিক পরিদর্শনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দপ্তর হতে একটি দল ট্রমা হাসপাতাল পরিদর্শণ করার কথা রয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হলে যন্ত্রপাতি স্থাপন শুরু হতে পারে। তাছাড়া একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনার শুরুতে ফেনীতে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার্থে চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হত। বর্তমানে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।