দাগনভূঞায় করোনা প্রতিরোধে গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৭ আগষ্ট) সকালে পৌরসভার আতাতুর্ক সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিজান মিলনায়তনে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান।

দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ দিদারুল কবীর রতন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আক্তার তানিয়া, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন মুন্সী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

দাগনভূঞা বাজারের ব্যবসায়ী নাছির ফল বিতানের স্বত্বাধিকারী ও পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মাঈন উদ্দিন টিকা গ্রহণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং উন্নত দেশের সঙ্গে সঙ্গে এদেশেও স্বল্প সময়ে টিকার ব্যবস্থা করায় সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিটা আমার জন্য যেমন জরুরি তেমনি প্রত্যেকের জন্য জরুরি। আমি নিয়েছি, আপনারাও নেন, আর করোনা মহামারি থেকে বাচঁতে ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সিনোভ্যাক (ভ্যারচল) টিকা শনিবার সকাল থেকে ৪ হাজার ৮শ মানুষকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। উপজেলায় ৮টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, এই ৮টি টিকাদান কেন্দ্রে ২৪টি বুথ। মোট টিকা পাবে ৪ হাজার ৮শ। প্রতিটি বুথে ৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, “করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র কার্যকর উপায় হচ্ছে এই টিকা। টিকা নিয়ে নিজেকে নিরাপদ করাই আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অন্যরা যেন বুঝতে পারেন এই টিকা গ্রহণ করে উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা হয় না।”