জুলাই মাসের শুরু থেকে ফেনীতে করোনা শনাক্তে হারের ক্রম উর্ধ্বগতি। সংক্রমণ হার বাড়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে অত্যধিক রোগীর চাপ। তা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ও প্রস্তাবনা তুলে ধরছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ফেনী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা: সাহেদুল ইসলাম কাওসার।

আজ ৩০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড ফেনী জেনারেল হাস্পাতালে ভর্তি -১২৭ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমুহে ৮৮ জন, প্রাইভেট হাস্পাতাল সমুহে-অনেকেই।
করোনার এই ক্রম উর্ধ্বগতি/উলম্ফনের প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবনা সমূহ:

  • ২৫০ শয্যা জেনারেল হাস্পাতালে ৩০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড থেকে ১৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ।
  • ৩০ বা ততোধিক শয্যা বিশিষ্ট প্রাইভেট হাসপাতাল সমুহে করোনা ইউনিট চালুকরণ। (ইতোমধ্যেই ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালে উক্ত সেবা যথারীতি চালু আছে। এক্ষেত্রে নন-কোভিড ইমার্জেন্সি সেবা সমুহ ও যাতে চালু থাকে সে ব্যাপারেও সজাগ থাকা আবশ্যক)
  • বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ফিল্ড হাস্পাতাল চালু সক্রিয় বিবেচনায় রাখা। এক্ষেত্রে খায়রুল আলম পেয়ারু ইনডোর স্টেডিয়াম কে স্থান হিসাবে বিবেচনা করা যায়। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বিত্তশালীরা এব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে "মাস্ক" পরা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা।
  • জেনারেল হাস্পাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকের কাজ সমাপ্তপ্রায়। দ্রুততম সময়ে সংযোগ চালুকরণ।
  • ইতোমধ্যেই অনুমোদন প্রাপ্ত PCR ল্যাব বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণ।

এ ব্যাপারে নীতিনির্ধাকদের সূদৃষ্টি কামনা করছি।

লেখক:
সভাপতি, 
বিএমএ

সাধারণ সম্পাদক, স্বাচিপ
ফেনী