ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীর ২১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ৯৮টি পজিটিভ এসেছে। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৪৪.৭৪ শতাংশ। যা ফেনীতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ২টি নমুনার মধ্যে একজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৩৯ জন, দাগনভূঞায় ৬ জন, সোনাগাজীতে ১৫ জন, ছাগলনাইয়ায় ২৯ জন, পরশুরামে ৮ জন এবং ফুলগাজীতে ১ জন রয়েছে।

গত দুইদিনে ছাগলনাইয়ায় একজন চিকিৎসকসহ ৩২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শিহাব উদ্দিন রানা।

তিনি জানান, ছাগলনাইয়ায় সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী কোভিড শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ। করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ডাঃ শিহাব জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে ঘোরাফেরা করায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

সংক্রমণের হার উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ফেনীতে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। তাছাড়া সংক্রমণের ঢেউ গত বছরের ন্যায় এবছরও একই সময়ে এসে দ্রুত ছড়াচ্ছে।
আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, গত বছর জুলাই মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাপ্তাহে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে গড়ে ১২০জন রোগী ভর্তি ছিল। চলতি সময়ে ইতোমধ্যে গড়ে ১শ রোগী ছুঁই ছুঁই করছে।

স্বাস্থ্যবিভাগ জানায়, আজ রবিবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৬ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৯১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন রোগী। হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬১৫ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন রোগী। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৮ জন, দাগনভূইয়ায় ১১ জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ জন, পরশুরামে ৩ জন, সোনাগাজী ১ এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২ জন রোগী।

একই সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ফেনীতে ২৫ হাজার ১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৪ হাজার ৮৮৭টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গড় শনাক্তের হার ১৮.৭৯ শতাংশ।

গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৮০৭ জন।