মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পনের মাস বন্ধ। বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের আশংকা উড়িয়ে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফেনীতে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী বেড়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, এ বছর ফেনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯৩১ বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০জন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, করোনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার শঙ্কা ছিল।

ফেনী জেলায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রসঙ্গে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্যাহ জানান, তথ্যটি পরিপূর্ণভাবে এখনও সম্পন্ন করা যায় নি। তবে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

অন্যদিকে জেলার প্রান্তিক অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষার্থী কমছে বলে দাবি করেন একাধিক প্রাথমিক শিক্ষক। সোনাগাজীর সেনের খিলে সেলিম আল দীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শাহ আলম জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী কমছে। এতে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাগে গড়ে তোলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, প্রাক-প্রাথমিকেও গত বছরের তুলনায় এবছর ভর্তি সংখ্যা বেশি। ২০২০ সালে প্রাক-প্রাথমিকে ২২ হাজার ৮৬৬ শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল। চলতি বছর তা বেড়ে ২৪ হাজার ২০৩ জন হয়েছে। তবে শিশুদের মাদ্রাসায় পাঠানোর একটি প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অভিভাবকদের মাদ্রাসামুখিতা প্রসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাদ্রাসামুখী মনে হলেও বিদ্যালয় খুলে গেলে এমন চিত্র পরিবর্তন হবে।