পরশুরামের নির্মাণ শ্রমিক মো: ইয়াছিনের হত্যা রহস্য উদঘাটন করে পুরস্কৃত হয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ মে) এর স্বীকৃতিস্বরূপ তাদেরকে পুরস্কৃত করেছেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী। গতকাল জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ডিবির ওসি এএনএম নুরুজ্জামানের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন তিনি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মাঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খালেদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে সোমবার আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার প্রধান আসামী মো: সেলিম ও সিএনজি অটোরিকশা চালক জামালের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল নিখোঁজ হয়ে যায় ইয়াছিন। পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন পরশুরাম থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিল তার পরিবার। এরপরও ইয়াছিনের কোন সন্ধান না মেলায় গত ২২ এপ্রিল তার পরিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএনএম নুরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পর ডিবির ওসি ও উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানসহ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

ডিবির ওসি এএনএম নুরুজ্জামান জানান, দায়িত্ব পাবার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৮ মে) রাতে সেলিমকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে কোন কিছু বলতে চায় নি সেলিম। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আবার আনা হলে মুখ খুলতে শুরু করে সেলিম। একে একে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয় আমাদের কাছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকালে পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিরাঙ্গা গ্রামে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকা হতে ইয়াছিনের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, ২২ এপ্রিল ডিবির উপর তদন্তের দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়। ১৮ দিনের মাথায় নিখোঁজের লাশ ও অন্যতম হত্যাকারীকে করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) ফেনী সদরের কালিদহ ইউনিয়নে মাইজবাড়িয়া গ্রামে সংঘটিত কিশোরী তানিশা ইসলাম (১১) হত্যার একদিনে মাথায় রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ। এর আগে শহরের রামপুরে রাখাল সাগর হত্যা মামলা ও ২৮ লক্ষ টাকা ছিনতাই মামলাসহ বেশ কয়েকটি রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।