দিনের ব্যবধানে ফেনীতে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৬৪ জনে। আর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২ হাজার ৮০৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। আজ শুক্রবার (৭ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, পরীক্ষার জন্য মোট প্রেরিত ১৯ হাজার ৬৪৬টি নমুনার মধ্যে প্রাপ্ত ১৯ হাজার ৩৬৭টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ। সুস্থতার হার প্রায় ৮১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৯০টি ও নোয়াখালীর সিভিল সার্জন অফিসে ফেনীর বিদেশগামী ৫৫ যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১১ টি পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে জন বিদেশগামী। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬ জন, দাগনভূঞায় ১ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩ জন এবং ফুলগাজীতে ৩ জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, গতকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আ্ইসোলেশেন চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫৭২ জন, তাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৬০ জন, হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১ জন। ভর্তিকৃতদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন ৬ জন, দাগনভূঞায় ৫ জন রোগী রয়েছে।

শনাক্তের মধ্যে ফেনী সদরের রয়েছে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, ফেনী মোট শনাক্তের মধ্যে সর্বোচ্চ ফেনী সদরে রয়েছেন ১৫৫৭ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন দাগনভূইয়া উপজেলায়। এ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৫৯২ জন। এরপর ছাগলনাইয়ায় ৪৬৪ জন, সোনাগাজীতে ৩৯৪ জন, পরশুরামে ২২৪ জন, ফুলগাজীতে ১৯৫ জন এবং ফেনীর বাইরে ৩৮ জন রোগী রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ৫৮ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ফেনী সদরে ২৫ জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, দাগনভূইয়ায় ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ৯ জন, পরশুরামে ৩ জন ও ফুলগাজীতে ২ জন রয়েছেন।

গত বছরের ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।