মহৎ ও মহান মানুষ ছাড়া এমন উদ্যোগ কেউ নিতে পারে না । তাই এমন মানুষদের আঙুলে গোনে মুখস্থ রাখা যায় নিজ ডায়েরিতে। কারণ এঁদের সংখ্যা সমাজে খুবই কম। সমাজটা সুস্পষ্ট সুন্দর, কিন্তু সমাজের অন্য মানুষগুলো স্পষ্ট নয় বলে এই মহামারীতেও আমরা একজনের পাশে আরেকজন ঠিকঠাক থাকতে কিপ্টামি করছি! অবশ্য থাকতে পারাটা আমরা শিখিনি। শিখিনি বলতে সমাজ এই শিক্ষাটা আমাদের দিতে আদৌও সক্ষম নয়! তাই এই কাজ যারা করেন আঙুলে গোনার মতোই কয়েকজন করেন। আর এইজন্য তাঁদেরকে মহৎ এবং মহান ছাড়া অন্যকিছু বলতে পারি না। বলছিলাম লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'এর কথা। এই সংগঠনটির নাম নিতেই সর্বপ্রথম যে নামটি আমাদের মুখে চলে আসে, তিনি নিজাম উদ্দিন পুলক। হা, এমন মানুষ পাওয়া মানে আমাদের সমাজমুখে হাসি ফোটা বৈকি। এই সমাজে এই শহরে এই রাষ্ট্রে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ আছে সত্য। কিন্তু নিজাম উদ্দিন পুলকদের সংখ্যা খুব খুবই সামান্য। তবু এই সামান্যজনরাই প্রতিদিন সাধারণ মানুষদের জন্য মাঠে নেমে কাজ করছেন। অথচ এই সু-কাজগুলো আমরা দেখি না! আর দেখি না বলেই আমাদের দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নিজাম উদ্দিন পুলকদের মূল্যায়নটাও আমরা করি না।

২০১৯/২০ বিশ্বকরোনাভাইরাসের শুরুতে এই নামের মানুষটি গোটা ফেনীজু্ড়ে যে কাজ করেছেন তা ইতোমধ্যে মানুষ জেনে গেছে। ঠিক সে ধারাবাহিকতায় 'লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ' নাম দিয়ে তিনি এবং আরো কিছু নিবেদিত মুখ নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ ইফতার বিতরণ কার্যক্রম। যা ফেমীজুড়ে আবারও মানুষের অন্তরে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ঝড় তোলাটা স্বাভাবিক। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, প্রতিদিন এক'শ জন মানুষকে ইফতার পেকেট বিতরণ করা অবাক করা বিষয়। কিন্তু এই কঠিন কাজটিই সত্যসুন্দর সফলভাবে করে যাচ্ছে লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। হা, যেকোনো কাজের আলোচনা হওয়া খুবই জরুরি। কারণ আলোচনা না হলে সমাজ বোবা হয়ে যায়। আলোচনা না থাকলে রাষ্ট্র দিকনির্দেশনা হারায়। আলোচনা না করা হলে পৃথিবী নীরব প্রাণীদের মতো আলাদা মানচিত্রে বন্দি হয়। তাই আমাদের সবসময় উচিত ভালো কাজগুলোর আলোচনা করার। প্রতিবেদন তৈরি করার। নিউজ করার। সংবাদ উপস্থাপন করার। কিন্তু আমরা তা ঠিকঠাক করি না! করি না বলেই সমাজে নিজাম উদ্দিন পুলকদের সংখ্যা আমরা বাড়তে দেখি না। না দেখার কারণ ওই যে তাঁরা উৎসাহ পান, বরং উল্টো সমালোচিত হন। তাই এঁদের সংখ্যা কম থেকে আরো কম হয়ে যায়।

লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'র ভ্রাম্যমাণ ইফতার বিতরণের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত মানুষ উপকার পেয়ে যাচ্ছে। ফেনী শহরের বিভিন্ন জায়গা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুরের মানুষের একটি হৃদহাসির নাম 'লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'। এই নামটিকে মানুষ আনন্দের সাথে মুখে নেয় ও নিচ্ছে। কারণ এই সংগঠনটির উপর ইতোমধ্যে হাজারো মানুষের ভালোবাসা ও ভরসা জন্ম নিয়েছে। বর্তমান লকডাউনের এই রমজান সময়ে যিনি প্রতিদিন হাজির হন, তিনিও প্রিয় মানুষ, প্রিয় ভাই এবং লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'র সংগঠনের চীপ-কো এডমিনিসট্রেটর জনাব শাখাওয়াত হোসেন রাজিব। তাই বলতে হচ্ছে, রাজিব ভাইয়ের শ্রম ঘাম কেউ না দেখলে বুঝতে পারবে না তিনি বাংলাদেশের লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কতটা নিবেদিত একজন পুরুষ।

লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'র প্রতিষ্ঠাতা নিজাম উদ্দিন পুলকের সু-পরিচালনায় জনাব শাখাওয়াত হোসেন রাজিব ও সংগঠনের কো এডমিনিট্রেটর জনাব ফারুক হাদীসহ লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'র সব ক'জন নিবেদিত সদস্যদের দ্বারা লাব্বাইক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ একটি বড়ো প্রতিষ্ঠানে রূপ নিক এটাই মনেপ্রাণে কামনা করছি।