মাসের প্রথম সাপ্তাহে বেতন পাবার কথা থাকলেও ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মার্চ মাসের বেতন ভাতা পান নি ছাগলনাইয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৭২ জন শিক্ষক। উপজেলা শিক্ষা অফিস বেতন ভাতার বিল ম্যানুয়ালি করায় বিলটি পাশ করে নি উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা। অন্যদিকে বেতন ভাতা না পাওয়াতে পবিত্র মাহে রমজানে ও লকডাউনে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটছে শিক্ষকদের।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। এপ্রিল মাসের আজ ২০ তারিখ হলেও মার্চ মাসের বেতন ভাতা পান নি ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রাথমিকের শিক্ষকরা। অন্যদিকে ছাগলনাইয়া ছাড়া ফেনীর অন্য সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মার্চের বেতন ভাতা এপ্রিলের শুরুতেই পেয়েছেন।

বিল পাশ না করার ব্যাপারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে আমাদের নিকট বিল জমা দিতে পারেনি বিধায় বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা অনেক আগ থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি মার্চ মাস থেকে শিক্ষকদের বেতন ইএফটি পদ্ধতিতে হবে কিন্তু তারা তা আমলে আনে নি।

বেতন পেতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ আলম দৈনিক ফেনীকে জানান, আমরা গত ২৯ তারিখে শিক্ষকদের বিল উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে জমা দিয়েছিলাম। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বিলটি ম্যানুয়েল হওয়ায় গ্রহণ করেন নি।

মোঃ শাহ আলম আরও জানান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার যদিও বলছে মার্চ মাসের বেতন ভাতা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সমিটের (ইএফটি) মাধ্যমে হবে, তবে তিনি ইচ্ছে করলে আমাদের সাবমিট করা ম্যানুয়েল বিলটি গ্রহণ করে বেতন ছাড় দিতে পারতেন। এছাড়াও সম্প্রতি ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড পাশ হওয়াতে আমরা বিলে তাদের বেতন স্কেল অনুযায়ী করলেও পরে তা সরকার স্থগিত করায় বিলটি বাতিল হয়। ২০০৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত পাঁচজন শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড পাশ করে দিবে বলে একজন প্রধান শিক্ষক চেষ্টা করেছিলেন। সেই পাঁচ শিক্ষকের বেতনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে গিয়ে বাড়াবাড়ি করাতে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বিলে স্বাক্ষর করেন নি।