করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে মুরগীর পাইকারি ও খুচরা বিক্রি কমেছে তুলনামূলক হারে। বেচা কম থাকায় দাম কমেছে মুরগীর৷ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। সোনালী কক মুরগীর দাম কমেছে কেজিপ্রতি প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ফেনী বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগী বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। আঁখি পোল্ট্রি এন্ড ব্রয়লার হাউজের বিক্রেতা মোঃ জসিম জানান, আজ ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩০/১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগী ২০০ টাকা কেজি, সোনালী কক ২৬০/২৭০ টাকা, দেশি মুরগী ৪৮০ টাকা।

মাসুদ এগ্রো'র মালিক খামারী মোহাম্মদ মাসুদ জানান, মুরগীর দাম কমার প্রধান কারণ হলো করোনা। করোনায় সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বড় বড় পাইকারদের কাছে খামারিরা মুরগী পাঠাতে পারছেন না। এছাড়া করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় কমেছে মুরগীর চাহিদা।

ভাই ভাই পোল্ট্রির মালিক মিজান জানান, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ক্রেতা কম তাই বিক্রিও কম। কমেছে অন্যান্য মুরগীর দামও। করোনায় কোন সামাজিক আচার অনুষ্ঠান না হওয়া বেচাকেনা কমে গেছে। ফলে দামও কমে গেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তা ফাহমিদা জানান, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় বাজারে যাওয়া হচ্ছে না। তাই মুরগীও কেনা হচ্ছে না।