ফেনী শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে সালাউদ্দিন মোড় যেতে সিএনজি-অটোরিক্সায় নিয়মিত ৫ টাকা ভাড়া হলেও চলমান লকডাউনে তা এখন ২০ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে ট্রাংক রোড থেকে ফেনী ইউনিভার্সিটি পর্ন্ত ১০ টাকা, সেখান থেকে সালাউদ্দিন মোড় ১০ করে আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক লক্ষ্য করা গেছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যবিধি মানতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ লাইনের পর যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করেছে। তাই সরাসরি সিএনজি চালিত অটো রিকশা বা টমটম সরাসরি চলছে না।

তবে বাড়তি ভাড়া নিলেও করোনা সংক্রামণ রোধে সরকারি বিধি নিষেধ মানছে না চালকরা। যাত্রীরা দাবি করেছেন, বাড়তি ভাড়া দিলেও সিএনজি-অটোরিক্সাগুলো আগের মতোই সব সিটে যাত্রী পরিবহন করছে।

শহরের ব্রাক ব্যাংকের মো. জামাল উদ্দিন নামে এক কর্মকর্তা বলেন, ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এভাবে সব দপ্তর খোলা রেখে লকডাউন দেয়া আমাদের জন্য ভোগান্তি।

একটি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চাকুরীজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের জন্য চাকুরীতে আসতেই হবে। সবকিছুই স্বাভাবিক চলছে। তারপরও চালকরা নিজেদের দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে।

পদুয়া থেকে ফেনী বড়বাজারে আসা আজিজুল হক নামে এক ব্যবসায়ী দৈনিক ফেনীকে বলেন, ফেনী ইউনিভার্সিটির ফটক থেকে ট্রাংক রোড পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। এভাবে হয়রানি করার কোনো মানে হয় না।

আব্দুল করিম নামে এক সিএনজি চালক বলেন, সবাই নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তাই আমিও নিচ্ছি।