দিনের ব্যবধানে ফেনীতে আরও ১০৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত ফেনীর করোনা শনাক্তের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৫৫ জনে। এ সময়ের ব্যবধানে ফেনীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৮ জনের মৃত্য হল। এছাড়া আজ আরও ৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ২ হাজার ২৪১ জনে। আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ২৪২টি ও ফেনী বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী থেকে পাঠানো ফেনীর ১০৬ জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। উক্ত নমুনা পরীক্ষা করে ১১০ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২টি দ্বিতীয় নমুনা। শনাক্তকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১০জন বিদেশগামী যাত্রী। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬১ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১৫ জন, সোনাগাজীতে ৪ জন, পরশুরামে ৮ জন, ও ফুলগাজীতে ৪ জন রোগী রয়েছে। এছাড়া ফেনীর বাইরের ৩জন রোগী রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তে হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি দুটি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ এসেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, মোট সংগৃহীত ১৬ হাজার ৮৩৬ টি নমুনার মধ্যে প্রাপ্ত ১৬ হাজার ৪৭১টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ১৭.৩৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ২ হাজার ৮৫৫ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ১ হাজার ২৫০ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৪৯৬ জন। এরপরে রয়েছে ছাগলনাইয়ায় ৩৭৫জন, সোনাগাজীতে ৩৪০ জন, পরশুরামে ১৯০ জন ও ফুলগাজীতে ১৬৭ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ৩৬ জন রোগী রয়েছে।

শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর ৪৩.৭৮ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের। আক্রান্তদের মধ্যে আজ পর্যন্ত জেলায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী সদরে সর্বোচ্চ ১৯জন, সোনাগাজীতে ১১জন, দাগনভূঞায় ৮জন, ছাগলনাইয়ায় ৬জন, পরশুরামে ৩জন ও ফুলগাজীতে ১ জন রয়েছেন। গত বছরের ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

অন্যদিকে আজ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭ হাজার ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত ও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।