করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সবজি বাজার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দোকানগুলোতে৷ আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) কাঁচাবাজারে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে আগের দামে। তবে দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাজারে ক্রেতা কম বলছেন সবজি দোকানিরা। অনেকে আবার মানছেন না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।

আজ বড় বাজারের সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায় স্বাভাবিক দিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি একদম কম৷ এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম হলেও লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। বেচাকেনা না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এই বাজারের প্রায় ৯০ জন সবজি বিক্রেতা।

আজকের বাজারে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শসিন্দা ৩০ টাকা, টমেটো ১৫ -২০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শসা ২০ /২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ২৫-৩০ টাকা। বাজারে নতুন আসা কাঁকরোলের দামই বেশি প্রতি কেজি কাঁকরোল ১৩০ টাকা৷

খুরশীদ আলম নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজির দাম কম থাকলেও বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। সকালে আড়ত থেকে বাকীতে মাল এনেছি এখনও আড়তদারের টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরে যেতে হবে৷ লকডাউনের কারণে প্রশাসনের ভয়ে সাধারণ ক্রেতারা বাজারে আসতে চাইছে না। এরমধ্যে বিকেল ৪টার মধ্যে দোকান বন্ধ করতে হয়৷ এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো, কিভাবে খেয়ে পরে বাঁচবো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।

নুরুন নবী নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এই বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯০ জন দোকানদার আছে। এমনও অনেকে আছে আজ সারাদিনে তার ২০০ টাকাও উপার্জন হয়নি৷ যেহেতু সবজি পচনশীল, তাই দিনের মধ্যে বিক্রি না করতে পারলে এগুলো পঁচে যায়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় ব্যবসায়ীদের।

ফজল করিম নামের আরেক সবজি বিক্রেতা জানান, সবজির দাম এখনও আগের মতোই আছে শুধু দুই একটি সবজির দাম বেড়েছে। এগুলো কয়েকদিনের মধ্যে আরও কমে যাবে। তিনি বলেন, দাম কম থাকলেও কেনার মানুষ নেই। অধিকাংশ হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় তারাও আগের মতো সবজি কিনছেন না।

ঝুটন দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম এখনও বাড়েনি। এখন পর্যন্ত আগের দামই নিচ্ছে দোকানদাররা। লকডাউনের সময় সবারই আর্থিক অবস্থা কিছুটা দূর্বল থাকে। সে জন্য সবজিসহ নিত্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা উচিত৷

শিপন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে বাজারে আসতে হবে। বাজারে না আসলে যেমন মানুষ খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারবে না তেমনই খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতারাও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তবে বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজারে কেনা বেচা করা উচিত মনে করেন তিনি।