বছরের শুরুতে ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার স্থিতিশীল থাকলেও মার্চ মাসে এসে সেটি কয়েকগুণ হারে বাড়তে শুরু করেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি মাসে ২১ তারিখ হতে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ৮দিনে মোট ৪১৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১০০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রবিবার (২৮ মার্চ) ৫৪টি নমুনায় পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২৪ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। অর্থাৎ প্রতি দুইটি নমুনা পরীক্ষার একজনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৪৪ শতাংশের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ফেনী সদরে ১১ জন, ছাগলনাইয়ায় ৬ জন, সোনাগাজীতে ৫ জন এবং ফুলগাজীতে ২ জন রয়েছেন। যার মধ্যে ৭ জন হচ্ছেন বিদেশগামী যাত্রী।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার অতিক্রম করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ২২৫জন সুস্থ হয়েছেন। আর করোনা আক্রান্ত জেলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৭০)। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ২৪ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি মার্চ মাসের ২৭ তারিখে ৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন, ২৫ তারিখে ৫৪টি নমুনায় ১২ জন, ২৪ তারিখে ৫২টি নমুনায় ১২ জন, ২৩ তারিখে ৪৬টি নমুনায় ১২ জন, ২২ তারিখে ৭০টি নমুনায় ১৩ জন এবং ২১ তারিখে ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের প্রতিবেদনে করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে।

একই সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষার জন্য গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে মোট ১৫ হাজার ৯৭৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৭৭৩টি নমুনার ফল পাওয়া গেছে। মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫.৮৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার প্রায় ১.৮৭ শতাংশ।

সংক্রমণের হার বাড়ার সাথে সাথে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ৩১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে ৫জন রয়েছেন পজিটিভ। রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেন তিনি।