আসন্ন সোনাগাজী পৌর নির্বাচনে মেয়র ও ১১ কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে সংরিক্ষত (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) মহিলা কাউন্সিলর পদে তাছমিম আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ও কাউন্সিলর পদে ২৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত উপেজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ হিজবুল্লাহ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ সেলিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাছের। নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ নেতা নূর নবী ও জামায়াত নেতা এডভোকেট হেদায়েত উল্যাহ ভূঞা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩২জন। প্রত্যাহার করেছেন ৯ জন। পৌর এক নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মো. মোস্তফা, মোশারফ হোসেন ও মো: শাহাজাহান। এ ওয়ার্ড হতে নুরুল আমিন চৌধূরী তার মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দুই নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দুই প্রার্থী। তারা হচ্ছেন জামায়াতের মোহাম্মদ আলী ফরহাদ ও হেদায়েত উল্যাহ ভূঞা (আ. লীগ)। তিন নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ইমাম উদ্দিন ভূঞা ও মো. আবদুল হালিম সোহেল ভূঞা। চার নম্বর ওয়াডে তিন প্রার্থী


আবদুল আল মমিন, আজগর হোসেন ও বেলায়েত হোসাইন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। পাঁচ ওয়ার্ডে বাহার উল্যাহ ও নাসির উদ্দিন রিপন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে মহিন উদ্দিন, আবদুল হাই ও আইয়ূব আলী খান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সাত নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতার করছেন শেখ আবদুল হালিম মামুন ও জামাল উদ্দিন নয়ন। আট নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন তিনজন। তারা হচ্ছেন শেখ কলিম উল্যাহ, মো. ফারুক, জহির উদ্দিন ও জাবেদ হোসেন। নয় নম্বর ওয়ার্ডে নাজিম উদ্দিন ও আকবর হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে) উম্মে ফাতেমা ও মনিহার বেগম এবং (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে) শাহানারা বেগম ও মর্জিনা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মইনুল হক জানান, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২ টায় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।