ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ও সংরক্ষিত ৬টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। ঘোষিত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, ফেনৗ পৌর ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে পুরনোরাই বহাল রয়েছেন, অন্যদিকে ৭টিতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক মাষ্টার আলী হায়দার, সদস্য সচিব একে শহীদ খোন্দকার ও সদস্য এডভোটেক হাফেজ আহাম্মদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের মনোনয়ন পেতে ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন ও ৬টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২৫ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ও সংরক্ষিত ২টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রদবদল করা হয়েছে। আর বাকীগুলো পুরনোদের বহাল রেখেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

১৮ ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেলেন যারা
ফেনী পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে হ্যাট্টিকের পথে রয়েছেন জেলা কৃষলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম গিটার। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কোহিনুর আলম এ নিয়ে পরপর চারবার দলীয় মনোনয়ন পেলেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবার প্রার্থীতা বদল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ ওয়ার্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান ভূঞার পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন তছলিমকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়নাল আবেদীন লিটনকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আতিক উল্ল্যাহ ফয়সালের পরিবর্তে আবুল কালাম মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মফিজ উল্লাহকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনবারের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের পরিবর্তে সাইফুল ইসলাম তানজিমকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগে যোগদানের এক মাস না পেরোতেই ১০ নম্বর ওয়ার্ড হতে মনোনয়ন পেয়েছেন খালেদ খান, যদিও আওয়ামী লীগের কোন পদ তিনি এখনও পান নি। এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন মুন্নার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন খালেদ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌরসভার সাবেক কমিশনার শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মেহেদী আলম চৌধুরী রুবেল। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বর্তমান কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ মজুমদার পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর স্থলাভিষিক্ত হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খান। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মনির আহাম্মদের পরিবর্তে নুরুল আলম দিদার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুবুল হক। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনবারের কাউন্সিলর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ বারের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মানিককে পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুর রহমান পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

অন্যদিকে ৬টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ২টিতে পরিবর্তন এনেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (১,২ ও ৩) ওয়ার্ড হতে সাহিদা আক্তার চাঁপার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগের সভানেত্রী হাসিনা আক্তার নিঝুম। ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন আক্তারকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিনা চৌধুরী শেলিকে পুনরায় মনোনীত করা হয়েছে। ১০, ১১ ও ১২ নতুন করে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ফেরদৌস আরা ঝর্ণা। ১৩, ১৪ ও ১৫ এবং ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জু রাণী দেবী ও ফেরদৌস আরা বেগমকে পুনরায় মনোনয়ন দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড।