মিরসরাই হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে হানাদার মুক্ত দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ র‌্যালীটি বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব রহমান রুহেল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, দেশে নানাবিদ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধীতা করছে। কিছুদিন পর বলবে ছবি তোলাও হারাম। ধর্মকে পুঁজি করে তারা ব্যবসা করছে। সমাজের ধর্মান্ধ মানুষকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীণতার চেতনা সম্পর্কে বুঝাতে হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছে তাদের বয়কট করতে হবে।

মাদকমুক্ত সমাজ বির্নিমাণে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার জন্য যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মৌলবাদ ডুকে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য অর্থনীতির মুক্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মৌলবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশিম, সহকারি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম, আবদুল মোতালেব ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম ইসলাম (বাচ্চু), এমএম কামাল পাশা, মাষ্টার আবুল কালাম, কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন গেদু, আবুল বশর, মাষ্টার রফিকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তোফায়েল উল্ল্যাহ চৌধুরী নাজমুল, আবু জাফর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ভূইয়া, ছাত্রলীগের আহবয়ক মাসুদ করিম রানা ও সাবেক ছাত্রনেতা সোহরাওয়ার্দী নিজামী নওফেল।