ফেনীতে গত ৭দিনে (১-৭ ডিসেম্বর) ২৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৫৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব ও ফেনীর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের জিন এক্সপার্ট মেশিনে মোট ৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। অর্থাৎ প্রতি ৪টি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ এসেছে।

সাত দিনে পরীক্ষাকৃত নমুনার মধ্যে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল পিসিআর ল্যাবে ২৭৯টি ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট মেশিনে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন জানান, আজ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫৫ জনে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৭৯৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছে।

মোট ১২ হাজার ৫০৪টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৭.২৩ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ আবু ইউসুফ জানান, গতকাল রবিবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৪৩টি ও ফেনীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালে ১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ১১টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬ জন, দাগনভূঞায়, ফুলগাজী, সোনাগাজীতে ১জন করে ৩জন ও ছাগলনাইয়ায় ২জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ।

আজ নতুন করে আরও ৩জন রোগী সুস্থ হয়েছে। আর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৭৯৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ রোগে জেলায় মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৩.৪৮ শতাংশ। 

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ২ হাজার ১১৩ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৮৮১ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৪১৪ জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৭৯ জন, ছাগলনাইয়ায় ২৭১জন, পরশুরামে ১৫১ জন ও ফুলগাজীতে ১৩৪ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৯ জন রোগী রয়েছে।

ফেনীতে শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর প্রায় ৪০.৮৮ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলা মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ফেনী সদরে ১৪জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, দাগনভূঞা ৮জন, ছাগলনাইয়ায় ৬জন ও পরশুরামে ৩জন রয়েছে। শনাক্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার প্রায় ১.৯ শতাংশ।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।