ফেনীতে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৫টি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ এসেছে। আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।

এ নিয়ে গত ৪ দিনে মোট ২৮১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। আর জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৩ জনে। মোট ১২ হাজার ২৬৪টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৭.২২ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ আবু ইউসুফ জানান, গতকাল সোমবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৫৩টি ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬ জন, দাগনভূঞায় ২ জন, ফুলগাজী, সোনাগাজী ও পরশুরামে একজন করে তিনজন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ শতাংশ।

করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৭৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর করোনাভাইরাসে জেলায় মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৪.৮৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার প্রায় ১.৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ২ হাজার ১১৩ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৮৫৩ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৪১০জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৭৬জন, ছাগলনাইয়ায় ২৬৭জন, পরশুরামে ১৫১ জন ও ফুলগাজীতে ১২৯ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৯ জন রোগী রয়েছে।

শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর প্রায় ৪০.৩৬ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলা মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ফেনী সদরে ১৪জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, দাগনভূঞা ৮জন, ছাগলনাইয়ায় ৬জন ও পরশুরামে ৩জন রয়েছে।

পরিসংখ্যানবিদ আবু ইউসুফ জানান, আজ পরীক্ষার জন্য ৫৮টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৫০৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর ৪৭ হাজার ৬৭৭জন রোগীকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।