শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে ফেনী সদরে ৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ শেষ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ‘তথ্য প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার: আসক্তি’ রোধ এই প্রতিপাদ্যে মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম।

সদর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জৌৎস্মা আরা জুসি, সহকারি কশিনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফখরুল ইসলাম, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে মেলাটি একদিনে সীমিতে করা হয় বলে জানান নাসরীন সুলতানা। প্রতিযোগিতায় সিনিয়র গ্রুপে বন্যাকবলিত এলাকায় পূর্বাভাস এবং ভাসমান সবজি ও প্রজেক্ট উপস্থাপন করে জয়নাল হাজারী কলেজ প্রথম হয়। এছাড়া ফেনী সরকারি কলেজ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয় ফেনী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।

জুনিয়র গ্রুপে শাহীন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ প্রথম, ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল দ্বিতীয় এবং ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুর রহমান বিকম বলেন, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটিয়ে মেলায় বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপন করেছে। আমরা আশাবাদী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা অব্যাহত থাকলে একদিন তারা অনেক বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠবে।

সভাপতির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রকল্প উপস্থাপন করেছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ভাবনী মনোভাব আমাদের আশাবাদী করে তোলে।

বিশেষ অতিথি সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, আজকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানী হয়ে গড়ে উঠবে। একদিন এদের মধ্য থেকেই অনেক বড় বিজ্ঞানী তৈরি হবে।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় সদর উপজেলার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপন করছে।

ভাইস চেয়ারম্যান জোৎস্না আরা জুসি বলেন, সরকার বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে উদ্ভাবন আমাদের আকৃষ্ট করেছে।

শাহীন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা হিউম্যানেইড মেডিক্যাল রোবট-৭১ তৈরি করেছি। এটি ব্যবহার করে চিকিৎসকরা রোগীর সংস্পর্শে না গিয়ে খুব সহজে চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এ রোবটটি তৈরি করি। কম খরচে এটি তৈরি করা সম্ভব।