নির্দিষ্ট গুদামে থাকার কথা থাকলেও খোলা বাজারে বিক্রয়ের (ওএমএস) চাল পাওয়া গেছে ডিলারের ঘরে। আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের পশ্চিম ডাক্তার পাড়ায় ডিলার নবী আলমের হাজেরা ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, চালগুলো সরকারি ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত।

নবী আলম ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার অনুমোদিত ডিলার।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি নবী আলম নামীয় এক ডিলার সরকারি চাল মজুত করে অন্যত্র বিক্রি করেন। সংবাদের সূত্র ধরে আজ নবী আলমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তার মালিকীয় হাজেরা ম্যানশনের নিচতলা থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৯ বস্তায় মোট ২শ ৭০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডিলার নবী আলম পলাতক।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় অভিযুক্ত নবী আলম সরকারি চাল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে তার বাসায় এনে মজুত করতো। এখানে বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিতো। অভিযানে জব্দকৃত চাল খাদ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে। অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

ফেনী সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মোঃ শাহীন মিয়া জানান, সরকারি চাল বাসায় মজুত করার কোন নিয়ম নেই। ডিলারগণ নির্দিষ্ট স্থানে খাদ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী চাল বিক্রি করবেন৷

সরকারি চাল বাসায় কেন এমন প্রশ্ন করলে নবী আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম জানান, এলাকার গরীব আত্মীয় স্বজনদের কাছে বিক্রির জন্য চালগুলো আনা হয়েছিলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী জানান, এর আগেও নবী আলমকে সরকারি চাল নিয়ম বহির্ভূত বিক্রির দায়ে আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। এরপরও সে নিয়মবহির্ভূতভাবে চাল বিক্রি করে আসছিলো।