ফেনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ফেনী জেলার আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত সকল শিশুদের শেখ রাসেলের আদর্শ ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুতি নেবার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, রাসেল হলো শিশুদের আদর্শ।

জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগষ্ট হত্যা করেছিল এই দেশেরই মানুষ। সেদিন তারা পরিবারের কাউকে ছাড়েনি। ছোট্ট রাসেলকেও হত্যা করেছিল ঘাতকরা।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চালায় বিভিন্ন গোষ্ঠী। কারণ তারা কখনও চায়নি এই দেশ স্বাধীন হোক। তারা পাকিস্তানীদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কারণ পাকিস্তানীরা বলেছিল আমরা এই দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই।

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভুঞা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে ভার্চুয়ালি সব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার ৮টি বিভাগে মোট ২৪ জনকে পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চিত্রাঙ্কনের তিন বিভাগে মোট ৯ জন, আবৃত্তিতে তিন বিভাগে ৯ জন এবং রচনা প্রতিযোগিতায় দুই বিভাগে ৬ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

রচনা প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করা শিশু সুমাইয়া ফেরদৌস লামিয়া বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠতম পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। পুরস্কার পেয়ে আমি অনেক খুশি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বি.কম। শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে উপস্থিত শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাখে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুল নাঈম, ফেনী শাহীন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র আব্দুস সামি ভুঁঞা।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।