দাগনভূঞায় চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার আমু ভূঞারহাট হাছানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ধর্ষণের চেষ্টাকারী কবির আহাম্মদ (৪০) ও ঘটনাটি গোপনে মীমাংসা করার দায়ে কামাল উদ্দিন (৫০) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

কবির স্থানীয় পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের বৈঠার পাড় গ্রামের আমান উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির মৃত জামাল আহম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। আর কামাল উদ্দিন একই গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। 

আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম শিকদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বাড়ির বাইরে খেলতে গেলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান কবির আহাম্মদ চালায়। ওইসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে কবির শিশুটিকে ১০টাকা দিয়ে কান্না থামান। পরে শিশুটি বাড়িতে এসে বিষয়টি তার মাকে জানালে তিনি বাড়ির লোকজন ও সালিশদার কামাল হোসেনকে জানান।পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করবেন বলে কামাল উদ্দিন কবিরের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। আজ শনিবার ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হানের কানে গেলে তিনি দুজনকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে আটক করে। 

ওই শিশুটির মা জানান, তার স্বামী দেশের বাইরে থাকে। চার মেয়ে নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন। তার মেয়েকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় চালায় কবির আহাম্মদ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, গোপনে অর্থের বিনিময়ে কামাল ও আলম মীমাংসার চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে অবহিত করলে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।

থানার ওসি মো আসলাম শিকদার জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, কামাল বিষয়টি গোপনে মীমাংসার জন্য অভিযুক্ত কবির আহাম্মদ থেকে পনের হাজার টাকা নেয়। যেহেতু বিষয়টি মীমাংসাযোগ্য নয়, তবুও কামাল কেন গোপনে মীমাংসার চেষ্টা করেছে আইনের দৃষ্টিতে সেও সমান অপরাধী।