ফেনীর সোনাগাজীতে কিশোরীকে ধর্ষণকারী চাচা তমিজ উদ্দিন নয়ন (৫০) আওয়ামী লীগের কেউ নয় বলে দাবী করছেন মতিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইসমাইল। তিনি বলেন, নয়ন আওয়ামী লীগে একজন অনুপ্রবেশকারী।

তার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন সভাপতি বলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কোন অনুমোদিত কমিটি কিংবা কোন সম্মেলন হয়নি। ওই ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ছিলেন প্রবীণ রফিক মাষ্টার। গত সম্মেলনের সময় ওই ওয়ার্ডের সভাপতি পদে রফিক মাষ্টার ও নয়ন প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্মেলনের দিন রফিক মাষ্টার অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে কমিটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরে নয়ন তার অনুসারীদের সহায়তায় নিজেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রচার চালাতে থাকে।

নয়নের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা না থাকলে তাকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে মোঃ ইসমাইল বলেন, মূলত তার সাথে যাতে আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা কর্মীর যেন সম্পর্ক না থাকে, কিংবা তার ব্যাপারে সকলে অবহিত হতে পারে সেজন্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশনাক্রমে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ইউনিয়ন সভাপতি বলেন, নয়নের বাবা মরহুম ছৈয়দ আহাম্মদ একজন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও নয়ন ও তার ভাইরা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে বিএনপি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে নয়ন ভোল পাল্টে আওয়ামী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক পরিচয় দিতে শুরু করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নয়ন একাধিক বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের কমতি নেই।

অন্যদিকে এ ঘটনায় সোনাগাজী থানায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে নয়নকে আদালতে আনা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার  জানান, ধর্ষিতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার করার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরীক্ষার শেষে ২২ ধারায় তার জবানবন্দী গ্রহণ করার জন্য আদালতে আনা হবে।