ফেনীতে নতুন করে আরও ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনা শনাক্তের ১৭০তম দিনে এসে এ নিয়ে শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬৩জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন মোট ৩৮জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) এসব তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন।

সিভিল সার্জন জানান, গত একমাসে নমুনার পরীক্ষার তুলনায় ধীরে ধীরে শনাক্তের হার কমছে। সেই সাথে সুস্থতার হারও বেড়ে চলেছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে আজ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষায় উক্ত করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ফেনীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ আবু ইউসুফ জানান, ফেনীতে শনাক্তকৃত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৫ ভাগের মধ্যে ৪ভাগই সুস্থ হয়েছেন। আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৬১৪জন রোগী সুস্থ হয়েছে। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

একই সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তকৃতরা ফেনী সদরের বাসিন্দা। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৮৬৩ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ৬৮৭ জন। এরপরে দাগনভূঞায় ৩৯২, সোনাগাজীতে ২৬০, ছাগলনাইয়ায় ২৩২, পরশুরামের ১৩৭ এবং ফুলগাজীতে ১২৩ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৭ জন রোগী রয়েছেন।

একই সূত্র জানায়, ফেনীতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ১২ জন সোনাগাজীর, ১০ জন ফেনী সদরের, ৮ জন দাগনভূঞার, ৪ জন ছাগলনাইয়ার ও ৪ জন পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মধুগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।