ফেনী জেনারেল হাসপাতালের টয়লেটের কমোডের ভেতরে ভাসছিল সদ্য ভূমিষ্ঠ ছোট্ট দেহটি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের তিন তলার আইসোলেশন ওয়ার্ডের টয়লেট পরিষ্কার করার সময় ওই নবজাতকের লাশ দেখতে পায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ওই নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত করা যায় নি। তবে কে বা কারা সন্তানটিকে এভাবে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করবেন তারা।

তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালের ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে ঘটনার পেছনে কারা জড়িত আছেন তা বের করা সম্ভব।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, সকালে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা টয়লেট পরিষ্কার করতে গেলে আইসোলেশন ওয়ার্ডের টয়লেটে ওই মৃত নবজাতককে দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে তাকে টয়লেটে ফেলে যাওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করে মর্গে পাঠায়।

আইসোলেশন ওয়ার্ডের টয়লেট হতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আরএমও আরও জানান, এর মধ্যে নবজাতকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্ত করতে (ডিএনএ) পরীক্ষা করা হবে। পুরো বিষয়টি পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহ করা হবে।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই মোঃ মাসুম উদ্দিন জানান, সকালে হাসপাতালের আরএমও আমাদের জানান তিন তলার টয়লেটে একটি মৃত নবজাতক পাওয়া গিয়েছে। আমরা সেখানে যাই এবং ফেনী মডেল থানাকে অবহিত করি। মডেল থানা থেকে আগত পুলিশ সদস্যরাসহ আমরা নবজাতককে উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি।

প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য রোগীর স্বজনরা বলছেন, টয়লেটের ভিতর নবজাতক ফেলে যাওয়া ঘৃণ্যতম একটি কাজ। যেহেতু হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে সিসিটিভি আছে। এটির সূত্র ধরে নবজাতকের পরিচয় বের করা সম্ভব।