স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেবে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে দলটি।

আজ রবিবার (২০ সেপ্টম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাঠপর্যায়ের নেতারা প্রার্থী মনোনয়নের জন্য যে পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন তার পুনঃসংশোধনী প্রকাশ করা হয়।

আগামী ডিসেম্বর থেকে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এ নীতিমালা দলের মাঠপর্যায়ের নেতাদের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ফলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তৃণমূল বিএনপির কাছে যেতে হবে সম্ভাব্য প্রার্থীকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব/১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (২ জন), উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক, (যে কমিটিতে সদস্য সচিব নাই, সেখানে আহ্বায়ক, ১নং ও ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক সুপারিশ করবে) (৩ জন)- এ ৫ জন আলোচনাক্রমে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য লিখিত সুপারিশ করবেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আবেদন ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ এবং হালনাগাদ ‘ভোটার তালিকাসহ মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখের ৫ কার্যদিবস পূর্বে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাহক মারফত পাঠাবেন।

পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব/১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (২ জন), পৌরসভা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক, (যে কমিটিতে সদস্য সচিব নাই, সেখানে আহ্বায়ক, ১নং ও ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক সুপারিশ করবে) (৩ জন)-৫ জন আলোচনাক্রমে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য লিখিত সুপারিশ করবেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আবেদন ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ এবং হালনাগাদ ‘ভোটার তালিকাসহ মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখের ৫ কার্যদিবস পূর্বে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাহক মারফত পাঠাবেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব/১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (২ জন), ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক, (যে কমিটিতে সদস্য সচিব নাই, সেখানে আহ্বায়ক, ১নং ও ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক সুপারিশ করবে) (৩ জন)- এ ৫ জন আলোচনাক্রমে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য লিখিত সুপারিশ করবেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আবেদন ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ এবং হালনাগাদ ‘ভোটার তালিকাসহ মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখের ৫ কার্যদিবস পূর্বে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাহক মারফত পাঠাবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে রুহুল কবির রিজভী আরও জানান, সারা দেশে দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক; উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, পৌরসভা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক এবং ইউনিয়ন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়কদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা), পৌরসভা মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাধারণ নির্বাচন/উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য এই পদ্ধতি/প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন।