ফেনীতে করোনা ভাইরাস শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮শ ছাড়িয়েছে। একই সাথে ফেনীতে করোনা শনাক্তের পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের ৫ম মাসে এসে ফেনীতে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার নিম্নমুখী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মীর হোসাইন দিগন্ত।

তিনি জানান, গত একমাসে নমুনার পরীক্ষার তুলনায় ধীরে ধীরে শনাক্তের হার কমছে।

তবে ফেনীতে শনাক্তকৃত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৫ ভাগের মধ্যে ৪ভাগই সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যুর হারও প্রায় ২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ০৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০১ জনে। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৭ জন।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১১ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৫৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৬.৮৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২.০৫ শতাংশ।

মোট ৯ হাজার ৩২৭টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.৩০ শতাংশ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৪ জন, ছাগলনাইয়ায় ১ জন ও ফুলগাজীতে ২জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯.৫৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৮০১ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৬৪৯ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৮৬জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৬০জন, ছাগলনাইয়ায় ২২০জন, পরশুরামে ১৩৪ জন ও ফুলগাজীতে ১২০ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৭ জন রোগী রয়েছে।

ফেনীতে শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর প্রায় ৩৬.০৩ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।