পবিত্র ঈদুল আজহা আসন্ন। কিন্তু এবারের এই ঈদ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদ্‌যাপন করবে সবাই। একদিকে কোরবানি, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কাজেই গবাদিপশু কোরবানির আগ থেকে রান্না পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় কোরবানির আয়োজনও হয়ে উঠতে পারে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর উৎস। কাজেই এই ঈদে মাংস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিচের ১০ পরামর্শ মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই:

১. যেখানে পশু কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটি করা হবে, সেখানে কাজের শুরুতে ও শেষে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।

২. যাঁরা কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটি করবেন, তাঁদের অবশ্যই হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক এবং পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরতে হবে। কাজ শুরুর আগে ও কাজ শেষে দুই হাতসহ পুরো শরীরের অনাবৃত অংশ সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

৩. কোরবানির পশু, চামড়া ও খোলা মাংসের আশপাশে কোনো অবস্থাতেই হাঁচি-কাশি দেওয়া যাবে না। কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটির জায়গায় ভিড় করা চলবে না। যাঁরা এই কাজগুলো করবেন, তাঁদের অবশ্যই অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৪. মাংস রাখার পাত্র ব্যবহারের আগে ও পরে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

৫. কাজ শেষে যাবতীয় বর্জ্য মুখ বন্ধ করা ব্যাগে ভরে স্থানীয় প্রশাসন বা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় রাখতে হবে। নতুবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

৬. রান্নার সময় কাঁচা মাংস নাড়াচাড়ার আগে ও পরে হাত ভালো করে সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৭. মাংস ভালোভাবে রান্না করতে হবে। মাংসের প্রতিটা অংশ যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।

৮. কাঁচা মাংসের পাত্র, কাটিং বোর্ড, ছুরি, বঁটি প্রভৃতি হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৯. রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ছোট প্যাকেটে মুখ বন্ধ করে মাংস রাখুন।

১০. রেফ্রিজারেটর থেকে বের করে কাঁচা মাংস ধরার সময় প্রতিবারই ওপরের সতর্কতাগুলো অবলম্বন করুন।

লেখক: পুষ্টিবিদ ও শিক্ষক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর