২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমছে। আাবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ২৩ জুন সর্বোচ্চ ১১৩জন রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকলেও বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ৫৬ ছিল। তবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ফেনীতে করোনা রোগী কমছে, এমনটা মনে করছেন না স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

হাসপাতাল সূত্রের তথ্যমতে ২ জুন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৩৬জন, এরমধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ৭জন। এর পরের সাপ্তাহে ৯জুন ভর্তিকৃত ৩৩জন রোগীর মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১০জন। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি এসে করোনা উপসর্গের রোগী দ্রুত বাড়তে থাকে। একই সূত্র জানায়, ১৫জুন হাসপাতালে ৮৩জন রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন যাদের ৩০জন করোনা পজিটিভ।

ডাঃ ইকবাল হোসেন জানান, জুনের তৃতীয় ও চতুর্থ সাপ্তাহে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন একশ’র উপরে ছিল এবং ২৫ জুন হতে তা কমতে থাকে। এদিন ৮৬জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরপর ৯ জুলাই ৬০জন রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসা প্রসঙ্গে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, বর্তমানে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হয়েছে। এতে করে রোগীর চাপ কমে থাকতে পারে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে করোনাভীতি কমেছে তাই ঘরে বসেই বেশীরভাগ মানুষ উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, যেকোনো ভাইরাস দেহে আক্রমণ করলে এন্টিবডি তৈরী হতে থাকে এবং ইমিউনিটি বাড়ে। এতে করে রোগী দ্রুত অসুস্থ হয় না, সামান্য উপসর্গের মধ্য দিয়ে সুস্থতা লাভ করে।

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুবাইয়াত বিন করিম জানান, দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর পর একমাসে ৩২জন করোনা উপসর্গভিত্তিক রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে। অক্সিজেন সেবা না থাকলে এ রোগীরাও ফেনীতে যেন।

তিনি জানান, দাগনভূঞাতে আজ শুক্রবার ১৯জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনার প্রথম দিকে উপসর্গবিহীন রোগী বেশী থাকলেও বর্তমানে তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে।

আপাতদৃষ্টিতে করোনা রোগী কম মনে হলেও আরটি-পিসিআর ল্যাব টেস্ট ছাড়াও করোনা এক্সরে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রোগ নির্ণিত হচ্ছে যা পজিটিভ রোগীর সংখ্যায় যোগ হচ্ছে না।

ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ফেনীতে করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে কিনা তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে মানুষসের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে এমন ধারণা অমুলক নয়।