দিনের ব্যবধানে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষার নতুন করে আরও ১৬জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯২জনে। আজ নতুন করে আরও ৪৫জন রোগী সুস্থ হয়েছে। মোট সুস্থ হয়েছে ৫৬৩জন। আজ শনিবার ( ৪ জুলাই) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৬৩.১১শতাংশ। অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত করোনা রোগীর তিনভাগের দুই ভাগই সুস্থ হয়েছেন। আর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৭জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে হতে ১১৫টি নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১৬টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৫ জন, দাগনভূঞা ৩জন, সোনাগাজীতে ২জন, ছাগলনাইয়ায় ৩জন এবং ফুলগাজীতে ৩ জন রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ৮৯২ রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৩৫১ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানের রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ১৮৬ জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ১৫০ জন, ছাগলনাইয়ায় ১১২ জন, ফুলগাজী ৪৪ জন ও পরশুরামে ৩৬ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ১৩ জন রোগী রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ শনিবার পর্যন্ত ফেনীতে মোট সংগৃহীত ৫ হাজার ১৪৪টি নমুনার মধ্যে ৪ হাজার ৯৭১টি নুমনার পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ১২জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসার জন্য ১৮জনকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।


করোন ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সোনাগাজীতে সর্বোচ্চ মারা গেছেন ৮জন। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৫জন, দাগনভূঞায় ২জন এবং ছাগলনাইয়া ২জন রয়েছেন।


জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৬ মে হতে আজ ৪ জুলাই শনিবার পর্যন্ত ৮৫২জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্তের প্রথম মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০জন। মে ও জুন মাসে এসে সেটি দ্বিগুণ হারে বাড়তে শুরু করে।