করোনা সংকটে যখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জরুরি সেবা গ্রহণ কেনাকাটা বা দাপ্তরিক কাজ চলছে, তখনই বাজেটে মোবাইল ফোন বিল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর আরেক দফা অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শুল্ক যোগ হচ্ছে। ফলে, নতুন অর্থবছরে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়তে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী মোবাইল খরচে নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। বাজেট প্রস্তাব ঘোষণার পরপরই তা কার্যকর হয়। ফলে বাড়তি কর টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নিজেরা বহন না করলে গ্রাহকের ওপরই পড়ছে। কারন, বছরও একই হারে বাড়ানো হলে গ্রাহকের দিকে ঠেলে দেয় তারা।

এতে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার দৈনিক ইত্তেফাকের একটি অনলাইন নিউজে দেখা যায় মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে, এর ফলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য মিলে মোট কর ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা তসলিম মাহমুদ বলেন, প্রতিবছর মোবাইল ফোনে মিনিট প্রতি খরচ বাড়ছে। আপাত দৃষ্টিতে সহনীয় মনে হলেও মাস শেষে একটি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে অথচ আয় বাড়েনি।

ইন্টারনেট সেবা গ্রহীতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, করোনাকালে অন্যসময়ের তুলনায় দ্বিগুণ নেট ব্যবহার হচ্ছে। নতুন করে শুল্ক যোগ হওয়ায় খরচ বেড়ে যাবে। প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্যের পরিপন্থী এ সিদ্ধান্তে করোনাকালে আরও একটি অস্বস্তি যোগ হবে।