১২ নভেম্বর,২০১৯

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।


ফেনীর সোনাগাজীতে আলোচিত নুসরাত হত্যাকান্ডে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১৬ জনের মধ্যে ১২জনকে ফেনী কারাগার হতে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কুমিলা কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ আসামীদের পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেছেন।


আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ফেনী কারাগার হতে ফাঁসির ১২ আসামীকে কুমিল্লায় পাঠানোর খবর জানিয়েছেন ফেনী কারাগারের জেলার দিদারুল আলম।


স্থানান্তরকৃত ১২ ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্র নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, ছাত্র সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র মহিউদ্দিন শাকিল।
জেলার জানান, ফেনী কারাগারে কনডেম সেল ও ফাঁসির মঞ্চ না থাকায় উক্ত আসামীদের কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের জানান, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতিকে বুধবার বিকালে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।


তিনি জানান, ২৭ মার্চ নিহত নুসরাতের মায়ের দায়েরকৃত শ্লীলতাহানি মামলায় বুধবার সিরাজ উদ দৌলার আদালতে হাজিরা রয়েছে। অপর এক মামলায় রুহুল আমিনেরও একইদিন আদালতে হাজিরা রয়েছে।


রফিকুল কাদের জানান, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুইজন নারী আসামী কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পাকে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হবে।


তিনি জানান, ফেনী জেলা কারাগারে পৃথক কনডেম সেল ও ফাঁসির মঞ্চ না থাকায় আসামী স্থানান্তরের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন)।


২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের নির্দেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।


চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যায়।