সোমবার কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদস্য মামুন উদ্দিনের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই মর্তুজা কাইয়ুম (৪৫) নামে অপর এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনিও পরশুরামের সন্তান। তার বাড়ি চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর গ্রামে। তিনিও ছিলেন আরেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বাবা আবু তাহের মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি  দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।


এএসআই মর্তুজা কাইয়ুম সদরঘাট থানায় কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক।
তিনি বলেন, জ্বর-সর্দি হওয়ায় এএসআই মর্তুজা ১৯ মে থেকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৭ মে তাকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।


আগে একবার তার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ জানিয়ে এডিসি বক্কর বলেন, “কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা।”


তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান বিপিএম, পিপিএম গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।


নগর পুলিশের জনসংযোগ শাখা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্টীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তার লাশ সিএমপির ব্যবস্থাপনায় পরশুরামে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।


গ্রামের বাড়িতে তাকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দাফন করা হবে বলে জানিয়ে পরশুরামের স্বেচ্ছাসেবক দল প্রধান ইয়াছিন শরীফ মজুমদার জানান, তার মরদেহ পরশুরামের পৌঁছানোর অপেক্ষা করছি আমরা।


তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক সহকর্মী জানান, তার সাথে ২০১৪ সালে একসাথে র‌্যাবে চাকুরী করার সুযোগ হয়েছিল আমার। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। সব সময় হাসি মুখে কথা বলতেন। পরের উপকারার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিতেন।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবার ১১ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। মর্তুজা ছিলেন তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন।


এর আগে গতকাল সোমবার মারা যান নগর পুলিশের আরেক সদস্য পরশুরামের সন্তান মোঃ মামুন উদ্দিন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গতকাল সন্ধ্যায় মির্জানগরের নিজকালিকাপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।