দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ সোমবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। তবে এবারের ঈদের আমেজে ছিল ভিন্নতা। করোনার কারণে স্মরণকালে এই প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলোনা কোন ঈদগাহে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ক্রমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফেনীর আড়াই হাজার মসজিদে ঈদের নামায় আদায় করলেন মুসল্লিরা।


এবার মিজান ময়দানের পরিবর্তে জেলার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ফেনী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। নামাযে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা সাইফুল্ল্যাহ।

এতে শরীক হন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, এনডিসি মনিরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিসেট্রট এম এন আবদুল্লাহ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। একই মসজিদে সকাল নয়টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


নামায শেষে উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি ফেনীবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে ঈদ পালনের আহ্বান জানান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনীর উপ-পরিচালক মোঃ মনজুরুল আলম মজুমদার জানান, এবার জেলার ৩ হাজার ২৫৩টি মসজিদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই দূরত্ব বজায় রেখেই নামাযে শরীক হয়েছেন তারা। নামায শেষে হাতে হাত মিলানো ও কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি থেকে বিরত থেকেছেন। অযথা ভিড় না করে নামায শেষে তারা ঘরে ফিরছেন।


এছাড়াও অন্যান্য মসজিদের মধ্যে জহিরিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ও সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত, আলীয়া মাদ্রাসা মসজিদে সকাল পৌনে ৮টায় প্রথম ও পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত, কোর্ট মসজিদে জামাত সকাল ৭টায়, সার্কিট হাউজ মসজিদ সকাল ৮টায়, উপজেলা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, সিভিল সার্জন মসজিদ সকাল সোয়া ৭টায় এবং পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও কেন্দ্রীয় মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


নামায শেষে করোনা ভাইরাস হতে হেফাজত করতে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ কামনা করেন মুসল্লীরা। একই সাথে দেশ জাতির মঙ্গল, সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করেন তারা।


সুশৃঙ্খলিতভাবে ঈদ জামাতসহ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থেকেছেন।