আবাদী জমি হতে সূর্যমুখী ফুল সংগ্রহ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

আজ (৭ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামে কার্যক্রম পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব প্রকল্প ও ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালিদহ ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে ৫ টি প্রদর্শনীতে মোট ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে।


তিনি বলেন, সূর্যমুখীর ফলন আশানুরূপ হয়েছে, কৃষক খুশী মনে ফসল কর্তন করছেন। সূর্যমুখীর আবাদ ও ফসল উত্তোলন দেখার জন্য উপ-পরিচালক স্যারসহ আমরা পরিদর্শনে এসেছি।

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ফেনীর কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সূর্যমুখীর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। আশা করছি কৃষক ফসল বিক্রি করে লাভবান হবেন। কৃষকের সূর্যমুখী ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

মাইঝবাড়িয়া ও গোবিন্দপুর ব্লকের উপ সহকারী কৃষি অফিসার এনায়েতুল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ইতিপূর্বে কৃষক এই জমিতে বোরো ধান আবাদ করে অধিক খরচ ও শ্রম দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতেন না। তাই গোবিন্দেুরে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর প্রকল্পের সূর্যমুখী আবাদ এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছিলো আমাদের জন্য। বীজ ও সার বিতরণ ছাড়াও কৃষকের সাথে নিয়মিত কাজ করে আমরা সফল হয়েছি। এখন অন্যান্য কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

তরুণ কৃষক মাঈন উদ্দিন বলেন, গত জানুয়ারীতে কৃষি অফিস থেকে আমাদের ৩ জন কৃষককে ৩ কেজি বীজ ও সার দিয়েছিলো। প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত সহযোগী করেছেন ব্লকের কৃষি অফিসার এনায়েতুল্লাহ্ স্যার। আমরা ফসল উত্তোলন করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। উপযুক্ত মূল্য পেলে আমরা লাভবান হবো।