আমার ইচ্ছা ছিল ‘বল’টি জীবনের শেষ পর্যন্ত আমার কাছে রাখবো। পরে মনে হলো এই মূল্যবান জিনিস দিয়ে যদি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় তবে এর চেয়ে মূল্যবান অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।


করোনা দুর্যোগে মানুষের পাশে আরও একবার এগিয়ে এসেছেন দেশের তরুণ ক্রিকেট তারকা সাইফুদ্দিন। নিজের সেরা সংগ্রহের বলটি নিলামের জন্য দেয়ার অনুভূতি প্রকাশে উপরোক্ত কথাগুলো প্রতিবেদককে জানান তিনি।


সাইফুদ্দিন জানান, দেশের ফটোগ্রাফি ব্যক্তিত্ব প্রীত রেজা ফোনে জানালেন বিভিন্নজন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অথবা মূল্যবান বস্তু নিয়ে নিলাম করবেন। যা বিক্রয় হবে তার পুরো টাকাটাই দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে ব্যয় করা হবে।


নিজের কাছে বলটির গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে প্রথমেই বলটির কথা মনে এসেছে। আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব একটা বড় নয়। বিশেষ করে দেয়ার মত আমার কাছে তেমন কিছু নেই। তবু মনে হল, গেল বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলাকালীন ইংল্যান্ডের বাকিংহামে একটি স্পোর্টস দোকান থেকে একট বল কিনেছিলাম যা আমার দেশের লাল সবুজের আদলে তৈরি। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভারত ম্যাচে আমার প্রিয় তিন ক্রিকেট তারকা অটোগ্রাফ নিব।


বলের একদিকে সাকিব-আল-হাসান অন্যদিকে ইন্ডিয়ার ভিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির অটোগ্রাফসহ বলটি আমার কাছে জমানো মূল্যবান বস্তু গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী। সাইফুদ্দিন বলেন, এ দুর্যোগকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষেরই দায়িত্ব। ইতোমধ্যে আমরা ক্রিকেটাররা বিসিবি হতে প্রাপ্ত বেতনের অর্ধেক চলমান করোনা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রদান করেছি।


অকশান ফর এ্যাকশন নামে এ উদ্যোগে আরও যোগ হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটদলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান।


এতে নিলামে উঠছে ক্রিকেটার লিটন দাসের এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি করা সেই ব্যাট, শ্রীলংকার বিপক্ষে তাসকিনের হ্যাটট্রিক করা বল, সৌম্য সরকারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ব্যাট, বাংলাদেশের কিংবদন্তী ফুটবলার প্রয়াত মোনেম মুন্নার ১৯৮৯ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্সি, ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা ব্যাট, জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমকে বাসায় দওয়াত দিয়ে একবেলা খাওয়ানোর সুযোগ, চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের সাথে লং ড্রাইভ, জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদীর ব্যবহৃত শেষ চশমা ইত্যাদি।