করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মোট ৩৯ লক্ষ ৯২ হাজার ১শ ৪০ টাকা দিয়েছেন ফেনীর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৮ টাকা দিয়েছে ফেনীর সরকারি কলেজগুলো, ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৭৪ টাকা দিয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬ বেসরকারি কলেজ এবং ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭শ ১৮ টাকা দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।


চলতি মাসের বিভিন্ন সময়ে নিজ নিজ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসেবে এ টাকাগুলো জমা দিয়েছেন তারা।


জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিয়েছেন ফেনীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। কলেজগুলোর অধ্যক্ষের তথ্যমতে মোট ১৬৬জন শিক্ষক ও ৫৫জন কর্মচারী একদিনের সমপরিমান বেতন আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৮ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন।


এ প্রসঙ্গে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল কান্তি পাল জানান, কলেজের ৬৬জন শিক্ষক ও ১৮জন বিভিন্ন পদে কর্মচারীরা একদিনের বেতন হিসেবে ১ লক্ষ ৯ হাজার ১৮০ টাকা জমা দিয়েছে।


জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্যাহ জানান, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সহায়তা করতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা ও বেসরকারি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। একদিনের সমপরিমান বেতন আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৭৪ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত জমা দেয়া হয়েছে।


এ প্রসঙ্গে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, আমাদের স্কুলের ৩৪জন শিক্ষক-কর্মচারীর একদিনের বেতন ৩৬হাজার ২শ টাকা জমা দিয়েছি। বিশ্বব্যাপী এ দুর্যোগকালে সবার উচিত দেশের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো।


এর আগে সরকারের পাশে থাকতে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত ফেনীতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭শ ১৮ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।


ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে জেলায় কর্মরত সকল সরকারি চাকুরীজীবী বৈশাখী উৎসব ভাতার ২০শতাংশ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছেন।


বিরিঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাহ দিবা খানম বলেন, উৎসব ভাতার ২০শতাংশ হিসবে ৮শ ৭৫ টাকা জমা করেছি।