করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে সারাদেশের ন্যায় একদিনের বেতন দিলেন ফেনীর মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী।


অজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্যাহ জানান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা ও বেসরকারি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। একদিনের সমপরিমান বেতন আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৭৪ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জমা দিয়েছে।


জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী সদর উপজেলায় এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক স্কুল, ২টি সরকারি স্কুল ও ৩টি বেসরকারি কলেজসহ ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীরা জমা করেছে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৬৭ টাকা। ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে জমা দেয়া হয় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৭৬ টাকা। দাগনভূঞার ২৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে জমা দেয়া হয় ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৯৪ টাকা। ৩ টি বেসরকারি কলেজসহ ফুলগাজী উপজেরার ২৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে জমা দেয়া হয় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৮ টাকা। সোনাগাজীতে ১৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে জমা হয় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৭৪ টাকা। পরশুরাম উপজেলায় ১৩ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে জমা দেয় ১ লক্ষ ৬৯৫ টাকা। এছাড়াও জেলা শিক্ষা অফিস ও ৬ উপজেলা অফিসে কর্মরত জনবল একদিনের সমপরিমান বেতন হিসেবে জমা দেয় ৩২ হাজার ৬২০ টাকা।


ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, আমাদের স্কুলের ৩৪জন শিক্ষক-কর্মচারীর একদিনের বেতন ৩৬হাজার ২শ টাকা জমা দিয়েছি। বিশ্বব্যাপী এ দুর্যোগকালে সবার উচিত দেশের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো।

ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম জানান, স্কুলের ৩২ জন জনবলের পক্ষে ৩৩ হাজার ৩০ টাকা জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানবিক কারনে সবার দায়িত্ব পালনের সময় এসেছে।


ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আবদুর রউফ সহায়তা করেন ৪৭০ টাকা। তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে সবার এগিয়ে আসা উচিত।


এর আগে সরকারের পাশে থাকতে ফেনীতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭শ ১৮ টাকা সহায়তা প্রদান করেছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, সকলে বৈশাখী উৎসব ভাতার ২০শতাংশ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছেন।