ফেনীতে আদা পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে কোথাও আদা'র দেখা পাচ্ছেন না, অভিযোগ করলেন ক্রেতা আজাদ হোসেন রাসেল। অভিযোগ করেন, দু'এক দোকানে থাকলেও কেজি হাঁকছে ৩৫০ টাকা করে।


আদা সংকটের অভিযোগ ও রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দর পর্যবেক্ষণ করতে ফেনী আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারি পরিচালক সোহেল চাকমা বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, আড়তে আদা নেই বলে জানায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা।


আদা না পেয়ে ক্রেতা মায়মুনা জাহান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজারে কোন না কোন পণ্যের সংকট তৈরী করে অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের টাকা লুট করে নেয়।


বাজারের খুচরা বিক্রেতা ভাই ভাই স্টোরের মালিক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, কমিশন এজেন্টের কাছে আদা নেই তাই আমরাও বেচতে পারছি না। আদার দাম উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১শ টাকার নিচে খরচ পড়লেও ঢাকা-চট্টগ্রামে আমদানিকারক দাম নিচ্ছেন ২৪০ টাকা করে। ফলে দাম বেড়েছে আদার।


ফেনীতে আমদানিকৃত আদা পেয়াজ রসুনের কমিশন এজেন্ট মেসার্স হরিপদ সাহার মালিক হরিপদ জানান, আমদানি নেই তাই গত সপ্তাহে আদা আসেনি। বাজারে আদা নেই তাই দাম বেশী।

তিনি বলেন, দেশীয় আদা বিভিন্ন এলাকায় চাষ হলেও ফেনীতে খাগড়াছড়ি জেলা হতে আসে। সাধারণত ডিসেম্বর, জানুয়ারী মাসে এগুলো বাজারে আসে, বছরের অন্য সময় চীন হতে আমদানিকৃত আদার উপর বাজার নির্ভরশীল।


তরকারী বাজারে কমিশন এজেন্ট মেসার্স ভক্তিপদ সাহার পরিচালক জানান, চলতি সপ্তাহে আদার বন্দর হতে খালাস হতে পারে। আমদানি স্বাভাবিক হলে বাজারে আদা সহজলভ্য হবে।


তাকিয়া রোডের ব্যবসায়ী ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করায় আমদানিকারকরা ইচ্ছাকৃত আদা সরবরাহ বন্ধ করে কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে।