করোনাভাইরাস কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছেন দাগনভূঞার ধান চাষীরা। চলতি আমন মৌসুমে মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে আনতে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন কৃষকরা। তাদের সাহায্যে মাঠে নেমেছে উপজেলার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে মাথায় করে বয়ে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে তারা।


আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সদর ইউনিয়নের ধর্মপুরের কৃষক রফিকুল ইসলামের ৮০ শতক জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ। অপরদিকে দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হকের ২৪০ শতাংশ ও কৃষক নুরুল আমিনের ১২০ শতাংশ জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে পৌঁছে দেয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।


ফেনী জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, আমন ধান ঘরে তুলতে কৃষকেরা শ্রমিক সংকটের কারনে যেন হতাশায় না পড়ে সে দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই কৃষক তার ঘরে ফসল তুলতে পারছে।


তিনি বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের এ মহতি উদ্যোগ কৃষকদের অনুপ্রেরণা যোগাবে, কৃষকরা ভবিষ্যতে আরো বেশী করে ফসল ফলাতে উৎসাহ পাবে।


দাগনভূঞা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ইয়াকুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুল জানান, করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কৃষকের লোকসান কমানোর জন্য আমরা গরিব কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি ।


কৃষক রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হক জানান, কোনধরনের পারিশ্রমিক ছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে আমাদের জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আমরা কৃষকরা খুবই আনন্দিত এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।


দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু নাছের চৌধুরী আসিফ জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ২০জন করে দুটি দল বিভিন্ন ক্ষুদ্র চাষীদের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দেবার জন্য তৈরি আছে।