কোন রকম প্রচার-প্রচারণায় তিনি নেই। নেই কোন সহায়তা প্রদানের ছবি বা বিবৃতি। একেবারেই নিভৃতে সঙ্গোপনে করোনাভাইরাস সৃষ্ট দুর্যোগে গরীব-দুঃখী ও অসহায়দের মানুষের পাশে এসে আপনজনের মত দাঁিড়য়েছেন তিনি। করোনাভাইরাসে চলমান অচলাবস্থায় পরশুরামের কর্মহীন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে তার প্রচেষ্টা বিরামহীন। তিনি হচ্ছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন নাসিম চৌধুরীর ছোট ভাই ও গুথুমা চৌধুরী বাড়ির সন্তান ব্যাংকার জালাল আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু। নিজেই পুরো প্রচার বিমুখ হলেও তার সহায়তা বিতরণে নিয়োজিত মানুষদের মুখে উঠে আসে তার পরোপকারীতার বাস্তব গল্প।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক ইউপি সদস্য বলেন, গতকয়দিন আগে আমার ওয়ার্ডে দরিদ্র কিছু পরিবারের জন্য পাপ্পু ভাই খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে। এতে এক বস্তা চাল, ৩ কেজি আলু, ৩ কেজি ডাল, ৩ কেজি তেল, ৫ কেজি বুট, ৩ কেজি পেয়াজসহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহায়তা প্রাপ্ত এক ব্যক্তি বলেন, রাতে কয়েকজন ছেলে এসে আমার ঘরে খাদ্যসামগ্রীর কিছু প্যাকেট দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এসময় কোনধরনের ছবি তোলা হয়নি এবং কি কাউকে নাম বলতেও তারা নিষেধ করেছেন।


পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলে বারী মনছুর তার এ নিভৃত পরোপকারীতার কথা উল্লেখ করে তার ফেইসবুক স্টাটাসে লিখেন, ভাই নিষেধ করেছিল কিন্ত আজ বলব সেই কথা। যদিও রাগ করবে, ফোন দিয়ে বকাঝকাও করতে পারে তাও আজ বলব।


পাপ্পু ভাই আসলেই একজন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী, সবার জন্যই উনি ভাবে কিন্তু কথা হলো সেই ভাবনার গভীরতা কতটুকু সেটা যার জন্য ভাবে সে ছাড়া আর কেউ জানেনা। কারন পাপ্পু ভাই যা করে সবই গোপনে করে আর একটা ব্যপার হলো প্রতি এলাকা উনি তাদের পাশেই বেশী দাঁড়ায় যারা স্থানীয় নেতাদের চাপে ব্যাকফুটে থাকে।


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফেনীর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী তার ফেইসবুকে লিখেন, এই উদ্যোগটি নেয়ার ক্ষেত্রে জালাল উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ভাইর সাথে কথা বলি। উনি জানালেন সমস্যা নেই, কাজ করো। পরে কাজের পরিকল্পনা নিয়ে অনলাইনে আমরা ভাইয়ের সাথে একটা মিটিং করি। মূলত ওনার আগ্রহের জন্যই আমরা বিষয়টি উদ্যোগ নিতে পারছি।


পাপ্পুর প্রশংসা করে সাদ লিখেন, এই করোনা পরিস্থিতে বড় বড় ব্যবসায়ীরা যেখানে চুপ, সেখানে একজন ব্যাংকার হয়েও আপনার এই এগিয়ে আসা আমাদের মত তরুণদের পথ দেখায়।


পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জমির উদ্দিন ভাবন ফেইসবুকে মন্তব্য করেন, নীরবে অসংখ্য মানুষের পাশে পৌঁছে যাচ্ছে পাপ্পু ভাইয়ের দেয়া উপহার। প্রচারবিমূখ মানুষটির সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।


ফুলগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ নেতা জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাপ্পু ভাইয়ের অর্থায়নে দরিদ্র পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। ভাইয়ের নির্দেশে কোন ধরনের প্রচার করছিনা।